![]() |
মধ্যবিত্ত জীবন মানে কষ্টের উপাখ্যান।মধ্যবিত্তরাই জানে জীবন মানে কি?মাসের প্রথম তারিখের দিকে চেয়ে থাকতে হয়।কখন টাকাটা হাতে আসবে।আর সেই টাকাটা সংসারের বিভিন্ন খাতে লাগাবে।তাঁরাই বুঝতে পারে একেকটা টাকার কত মূল্য।মন চাইলেও অনেককিছু করা যায় না।
মন চাইলেও শখ গুলো মিটানো যায় না।মধ্যবিত্ত বাবারাই জানে নিজের জন্য একটা টাকা খরচ করা মানে অপচয়।পুরানো স্যান্ডেল গুলো সেলাই করে আরও কয়েক মাস চালিয়ে দেওয়া।বরং সে টাকাটা ছেলের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি তে লাগিয়ে ফেলে।ছেলেটাকে মনের মত কিছুই কোনদিন দিতে পারে না।অনেকদিন ধরে ছেলেটা একটা সাইকেলের জন্য বায়না করে যাচ্ছে।কিছু কিছু টাকা বাবা জমাচ্ছে। সাইকেল কিনে দিবে বলে।
মধ্যবিত্ত মা'য়েরা একটা নতুন শাড়ী, নতুন গহনা কখনোই কিনে না।সে টাকাটা মেয়েকে কলেজ যেতে হাতে গুঁজে দেয়।মেয়েটা কখনো ই কোন ভালো কিছুর জন্য আবদার করেনি।নিজে প্রাইভেট পড়িয়ে যা পায় তাই দিয়ে চালিয়ে নেয়।
মধ্যবিত্ত বাবা মা'য়ের কখনো অসুখ হয় না।আর হলেও তা চেপে রাখে।বুকের ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা বলে চালিয়ে দেয়।মধ্যরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় বাবা মা'য়ের, একটা বিবাহযোগ্য মেয়ের চিন্তায়।কি করে মেয়েটাকে বিয়ে দিবে?আর দিলেও শ্বশুরবাড়ির মুখ কি করে উজ্জল করবে?টাকার চিন্তায় বাবার বুকের পেইনটা হয়ত বেড়ে যায়।তবুও কাউকে বুঝতে দেয় না।
এভাবেই দিনের পর দিন রাতের পর রাত টেনে হেঁচড়ে যায়।
মাসের কয়েকটা দিন ভালোই চলে।মাসের মাঝখানে হাতের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।কোন রকম টেনে মাসটা পার করতে হয়।
মধ্যবিত্ত জীবন মানে হিসাব করে চলা।তাঁরাই ভালো করে জানে সপ্তাহের কোনদিন কোন বার।ক্যালেন্ডারের প্রতিটা তারিখ তাঁদের মুখস্ত থাকে।মাসের দু' একদিন ভালো মন্দ খাওয়ার নামেই মধ্যবিত্ত জীবন।
এ মানুষ গুলো কখনো কারো কাছে হাত পাততে পারে না।এদের আত্মসম্মান একটু বেশি হয়।দু'বেলা না খেয়ে থাকবে তবুও কারো কাছে কষ্ট স্বীকার করবে না।
আর এটাই হলো মধ্যবিত্ত জীবন।
এটাই হলো জীবন যুদ্ধ।
Video
click video more
মন্তব্যসমূহ